fbpx

৬ টি অরগানিক (ফ্রি) মার্কেটিং কৌশল যেগুলো প্রয়োগ করতে আপনার একটি টাকাও খরচ হবে না

free marketing ideas for small business

৬ টি অরগানিক (ফ্রি) মার্কেটিং কৌশল যেগুলো প্রয়োগ করতে আপনার একটি টাকাও খরচ হবে না

Facebook
LinkedIn
Pinterest
Twitter

Free Marketing Ideas | Organic Marketing Strategies | Marketing Hacks for SME Business

সাধারণত মানুষ মার্কেট বলতে বাজারকে বুঝে। কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে একজন উদ্যোক্তার জন্য মার্কেট হচ্ছে তার ক্রেতারা। কোন ব্যবসার পণ্য কিংবা সেবা সম্পর্কে ক্রেতাকে জানানো, তাদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার চেষ্টা  করা, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে কেন একজন ক্রেতার এই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বা সেবা নেয়া উচিত তার উপযুক্ত কারণ দেখানো এর সব কিছুই মার্কেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত।

আধুনিকতার এ যুগে প্রচারই প্রসার। তাই ব্যবসা সম্প্রসারণের সাথে সাথে উদ্যোক্তার নিজেকে এবং ব্যবসাকে ক্রেতাদের কাছে পরিচিত করে তোলার জন্য চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন ভাবে একজন উদ্যোক্তা ক্রেতাদের কাছে নিজের ব্যবসাকে তুলে ধরতে পারেন, অপর কথায় মার্কেটিং করতে পারেন।

বড় বড় প্রতিষ্ঠান যে মার্কেটিং টেকনিক ব্যবহার করে তার উদাহরণ হিসেবে আমরা বিলবোর্ড, পোস্টার, টিভি অ্যাডভার্টাইজমেন্ট ইত্যাদির কথা বলতে পারি। কিন্তু এ সকল মার্কেটিং টেকনিক অনেক ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা সাধারণত এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই নিচে তাদের ব্যবহার উপযোগী ৬ টি অরগানিক মার্কেটিং টেকনিক (যে গুলো করতে কোনও পয়সা খরচ হবে না) সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলঃ

Social Media Marketing (সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং):

বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মার্কেটিং টেকনিক হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। ছোট থেকে বড় সকল প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। আমাদের দেশে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় বলে ফেসবুক মার্কেটিং হচ্ছে সবচেয়ে কার্যকরী ।

বিভিন্ন ভাবে একজন উদ্যোক্তা ফেসবুকে মার্কেটিং করতে পারে। যেমনঃ

ফেসবুক লাইভঃ ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা ক্রেতাদের কাছে তার পণ্য বা সেবাকে তুলে ধরতে পারবে। লাইভের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এর ভিজুয়াল, অর্থাৎ ক্রেতারা কি পণ্য বা সেবা পাবে তা তারা সরাসরি দেখতে পারবে। এছাড়াও যে কোন সমস্যা কিংবা জিজ্ঞাসা থাকলে সরাসরি তা নিয়ে কথাও বলতে পারবে।

ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ক্রেতাদের সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখা যায়। তাছাড়া দ্রুত পরিচিতির জন্য এটি দরকার।

ইন্সটাগ্রাম পেইজঃ প্রোডাক্ট এর সুন্দর সুন্দর ছবি দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার অন্যতম একটি মাধ্যম হল ইন্সটাগ্রাম পেজ। যে কেউ তার নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল এর পাশাপাশি বিজনেস পেইজের জন্য একটি একাউন্ট খুলে খুব সহজে ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলের মাধ্যমে তার পণ্যের প্রচার করতে পারে।


গুগল ম্যাপঃ

সাধারণত হাতের কাছেই মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে চায়। আর তাই কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সেবার দরকার পরলেই সবাই সাধারণত তার আসে পাশে কথায় সেটা আছে তা জানতে গুগুল ম্যাপে সার্চ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য খুবি গুরুত্বপূর্ণ একটি মার্কেটিং টেকনিক হতে পারে। কেননা গুগুল ম্যাপে নিজের প্রতিষ্ঠান কে লিস্ট করতে কোন পয়সা খরচ করতে হয় না। খুব সহজে নিচের নিচের নিয়ম গুলো অনুসরণ করে যে কেউ গুগুল ম্যাপে নিজের প্রতিষ্ঠান কে লিস্ট করার জন্য আপবেদন করতে পারেঃ

How to list your business in Google Map

§  ফোনে গুগল ম্যাপ অ্যাপে ঢুকতে হবে এবং গুগল অ্যাকাউন্টে লগইন করা থাকতে হবে।

§  কন্ট্রিবিউশন অপশন থেকে প্লাস আইকনে ক্লিক করতে হবে। তারপর অ্যাড প্লেস অপশনে ক্লিক করতে হবে।

§  নামের ঘরে প্রতিষ্ঠানের নাম এবং ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানের ধরণ সিলেক্ট করতে হবে। যেমন দোকান হলে স্টোর সিলেক্ট করতে হবে।

§  এরপর প্রতিষ্ঠানের ছবি, মোবাইল নম্বর, বন্ধ ও খোলার সময় যুক্ত করতে হবে।

§  পড়ে সাবমিট অপশনে ক্লিক করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ম্যাপে তা যুক্ত হয়ে যাবে।

এছাড়া গুগল মাই বিজনেস একাউন্ট ব্যবহার করে একজন উদ্যোক্তা তার উদ্যোগের দরকারি সব তথ্য একসাথে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তখন গুগলে সার্চ করলেই সব তথ্য একজন ক্রেতা সহজে পেয়ে যাবে।

Create your Google Business Account Today! Open an account here: https://www.google.com/business/


সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ কোন তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ করলে অনেক অনেক ওয়েবসাইট দেখায়। এর মধ্যে সবচেয়ে কাছাকাছি তথ্য যে ওয়েবসাইটে থাকে সেগুলো শুরুতে থাকে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) হচ্ছে এমন একটি টেকনিক যা ব্যবহার করলে গুগল সার্চে উদ্যোক্তার ওয়েবসাইট শুরুর দিকে থাকবে। তার জন্য দরকার হচ্ছেঃ

§  কিওয়ার্ড রিসার্চ, অর্থাৎ মানুষজন অনলাইনে কি লিখে সার্চ করে সে সম্পর্কে জানা এবং সে অনুযায়ী ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করা।

§  তা ছাড়াও মোবাইল ডিভাইস অপটিমাইজেশন, ভালো ব্যাকলিংকিং, ওয়েবসাইটের ইউআরএল ঠিক রাখা ইত্যাদিও দরকার।


ইমেইল মার্কেটিংঃ ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটি টেকনিক যা দ্বারা ক্রেতাদের সহজে কোন ব্যবসা সম্পর্কে জানানো যায়। কোন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে যারা ঢুকবে তারা সবাই কিন্তু সাথে সাথে পণ্য বা সেবা গ্রহণ করবে না। তাই যাতে সম্ভাব্য ক্রেতারা সকল পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সহজে জানতে পারে, তার জন্য কাস্টমাইজড ইমেইল পাঠানোই হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য যা যা মাথায় রাখতে হবেঃ

§  ঘন ঘন ইমেইল পাঠানো যাবে না।

§  ইমেইলের কনটেন্ট এমন হতে হবে যাতে যে তা পাবে সে বিরক্ত না হয়।

§  ব্লগ পোস্ট, নিউজলেটার, নতুন পণ্য বা সেবার বিবরণ ইত্যাদি হচ্ছে সঠিক উপকরণ।

ফ্রি ইমেল মার্কেটিং এর কিছু জনপ্রিয় টুলস রয়েছে যেমনঃ Mailchimp, Getresponse.com, HubSpot


কনটেন্ট মার্কেটিংঃ কনটেন্ট হচ্ছে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার সবচেয়ে সহজ উপায়। কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ক্রেতাকে পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানানো, এবং কেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে সেই পণ্য বা সেবা গ্রহণ করা উচিত তা তুলে ধরা। কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যম হচ্ছে ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ইত্যাদি। এর মধ্যে যে কোনটাই উদ্যোক্তা তার ব্যবসার জন্য ব্যবহার করতে পারে। একই কনটেন্ট স্যোসাল মিডিয়াতেও ব্যবহার করা যায়। শুরুতে সব ধরণের কনটেন্ট মার্কেটিং টেকনিক ব্যবহার করা উচিত। তাতে পরবর্তীতে যেটা ক্রেতাকে বেশি আকৃষ্ট করে ওই মাধ্যম বেছে নিতে সহজ হবে।


ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিংঃ সর্বশেষ হচ্ছে চিরকাল হতে চলে আসা টেকনিক, যা হচ্ছে গুডউইল বা সুনাম। যে কোন ব্যবসার প্রসারের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে সন্তুষ্ট ক্রেতা। ক্রেতা যদি সন্তুষ্ট থাকে তবে সে তার পরিচিত সবাইকে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য বা সেবা নিতে বলবে। এভাবে একজন থেকে পাঁচ, দশ, শত, হাজার এভাবে করে ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকতে। ক্রেতার মুখে মুখে এভাবে প্রতিষ্ঠানের নাম ছড়িয়ে পড়ে বলেই এই টেকনিকের নাম ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিং। এর জন্য উদ্যোক্তাকে আলাদা করে কিছু করতে হয় না। ক্রেতা যদি পণ্য বা সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট থাকে, তাহলে সে নিজে থেকে অন্যদের তা জানাবে। কাস্টমার ফিডব্যাক ও রিভিউ সিস্টেম ওয়ার্ড অফ মাউথ মার্কেটিং ব্যবহারের একটি মাধ্যম।

বর্তমান যুগে টিকে থাকতে হলে উদ্যোক্তাদের সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলার কোন বিকল্প নেই। তাই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেটিংয়ের উপর জোর দেয়া প্রয়োজন সকলের। এক্ষেত্রে এই ফ্রি মার্কেটিং কৌশল গুলো যেকোন উদ্যোক্তাকে সাহায্য করবে।


More Blogs from SME Vai

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *